যুদ্ধের কয়েক মাস আগেই রাশিয়ার কাছে ড্রোন বিক্রি করে ইরান
স্বদেশ জার্নাল → প্রকাশ : 5 Nov 2022, 6:32:40 PM
যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগেই রাশিয়ার কাছে ড্রোন বিক্রি করেছিল ইরান। তবে ক্রেমলিনে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায়নি তেহরান। শনিবার (৫ নভেম্বর) একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্রের জবাবে এসব কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান।
পাশাপাশি যুদ্ধচলাকালে রাশিয়াকে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে ইরান- ইউক্রেনের এমন অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।
আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর যে অভিযোগ জানিয়ে আসছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। তবে তেহরান থেকে মস্কোতে ড্রোন পাঠানো হয়েছে এটা সত্য। যুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে কয়েকটি ড্রোন রাশিয়ার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল।
এদিন তিনি আবারও বলেন, যুদ্ধে কোনো পক্ষকেই সমর্থন করে না ইরান। এমনকি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও রাজি আছে তেহরান। আমরা ইউক্রেনকে বার বার বলে আসছি, যুদ্ধে ইরানের ড্রোন ব্যবহারের কোনো প্রমাণ তাদের কাছে থাকলে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হোক।
আমরা এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের পক্ষ থেকে প্রমাণ উপস্থাপনের অপেক্ষায় আছি। তারা যদি উপযুক্ত প্রমাণ তুলে ধরতে পারে তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।’
এ কুটনীতিক জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইরানের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা ও সামরিক কর্মকর্তা ইউরোপের একটি দেশে যান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির চাপে শেষ মুহূর্তে আলোচনা থেকে সরে যায় ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল।
এর আগে ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাশিয়াকে তারা প্রতিরক্ষা সহায়তা দিচ্ছে, তবে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ক্রেমলিনকে কোনো অস্ত্র সরবরাহ করছে না রাইসি প্রশাসন।
এদিকে পুতিন প্রশাসনের দাবি, যুদ্ধে যেসব ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো রাশিয়াতেই তৈরি। তাছাড়া যুদ্ধে রাশিয়ার ড্রোন ব্যবহারের বিরুদ্ধে তদন্তে নামায় জাতিসংঘকে সতর্ক করেছে ক্রেমলিন।
এদিকে, ইরানও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন দুই হাজার ২৩১ ব্যবহারের চেষ্টা করায় পশ্চিমাদের নিন্দা করেছে। বিষয়টি ২০১৫ সালে বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক চুক্তিকে সামনে আনে ও দেশটির পারমাণবিক কর্মকাণ্ড তদন্তে জাতিসংঘকে উসকে দেয়।
যুদ্ধ চলাকালে রাশিয়ার কাছে ড্রোন বিক্রি করছে ইরান- ইউক্রেনের এমন ধারাবাহিক অভিযোগের ভিত্তিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক সংকুচিত করার পাশাপাশি ইরানের বেশকিছু সংস্থা ও কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
share: