হাত থেকে ভাত পড়ায় শতাধিক বেত্রাঘাত!
স্বদেশ জার্নাল → প্রকাশ : 6 Aug 2022, 6:02:42 AM
ভাত খাবার সময় হাত থেকে ভাত পড়ে যাওয়ায় সিহাবকে বেধম মারধর করা হয়। ছোটবেলায় গাছ থেকে পড়ে ভেঙ্গে যাওয়া হাতেও মারেন ওই শিক্ষক। হাত ভাঙ্গার কথা জানালে ওই হাতে আবারো পেটানো হয়। পরে তার জ্বর উঠলে মাদ্রাসার শিক্ষকরাই ঔষধ খাওয়ায়। টানা তিন দিন জ্বর না ছাড়লে বুধবার তার বাবা শুকুর আলীকে মাদ্রাসায় ডেকে এনে সিহাবকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাড়ির লোকজন সাধারণ জ্বর মনে করে ঔষধ দেয়। কিন্তু মাদ্রাসায় ফিরে গেলে পুনরায় মার খেতে হবে।এমন ভয়ে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই মারধরের কথা কাউকে বলেনি সিহাব। ওই দিন রাতে তার সৎ মা খালেদা বেগমের কাছে জানায়- মাদ্রাসার শিক্ষক তাকে মারার পর জ্বর উঠেছে। শুক্রবার সকালে সিহাবের কাপুনি দিয়ে জ্বর উঠে, সাথে বমি ও মলত্যাগ। বাড়ি থেকে নেয়া হয় বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে কর্তব্যরতরা সিহাবের আশংকাজনক অবস্থা দেখে হাসপাতালেও প্রবেশ করতে দেয়নি, ঢাকায় নিয়ে যাবার কথা বলে। পরে বরুড়া থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এভাবেই সিহাবের মৃত্যুর ঘটনা বর্ননা করেন তার ভাবী সাবিকুন্নাহার। সিহাবের সৎভাই সোহাগের স্ত্রী তিনি।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মেড্ডা আল মাতিনিয়া নুরানি মাদ্রাসায় ঘটে এমন মর্মান্তিক ঘটনা। নিহত সিহাব হোসেন (১১) নামে ওই মাদ্রাসার নুরানী শাখার ছাত্র। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুর রবকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। সিহাব উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের শশইয়া গ্রামের ডিলার বাড়ির শুকুর আলী ডিলারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে কোন একসময় সিহাব মারধরের শিকার হয়। তাকে শতাধিক বেত্রাঘাত করে মাদ্রাসার শিক্ষক। শুক্রবার (৫ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
share: