অতীত ইতিহাস বজায় রাখল পাকিস্তান
স্বদেশ জার্নাল → প্রকাশ : 9 Nov 2022, 1:52:39 PM
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের জয়ের রেকর্ড মোটামুটি ভালোই। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে এসেই পাকিস্তানিদের সামনে বারবার খেই হারিয়ে ফেলে কিউইরা। যেমন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হলো। আবারো পাকিস্তানিদের কাছে হোচট খেলো তারা।
বিশ্ব আসরে নিউজিল্যান্ডের দুঃখের নাম পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অষ্টম আসরেও ব্যক্তিক্রম হলো না। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালের অতীত ইতিহাস বজায় রাখল পাকিস্তান।
টি টোয়েন্টি ও ওয়ানডে মিলিয়ে সব ধরণের বিশ্ব আসর মিলিয়ে চারবারের দেখায় চারবারই জিতল পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৫৩ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে বাবর আজমের দল।
নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাঁচ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা। দলের হয়ে ৪৩ বলে পাঁচ চারে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার মোহাম্মাদ রিজওয়ান। এ ছাড়াও ৪২ বলে সাত চারে ৫৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান পাক অধিনায়ক বাবর আজম।
বিশ্বকাপের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, রঙ্গিন পোশাকের দুই আসর মিলিয়ে মোট চারবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দুইবার ও টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনলে এবার নিয়ে দুইবার মিলিয়ে মোট চারবার একে অন্যের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে তারা।
শেষ চারের এ লড়াই নিউজিল্যান্ডের জন্য বেশ হতাশার। চীনের দুঃখ হোয়াংহো নদীর মতো সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের দুঃখ হয়ে আছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের এই দুঃখের শুরু সেই নব্বই দশকে। উত্তরসুরীদের হারের ধারা বয়ে নিয়ে চলছেন কেন উইলিয়ামসনরা।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে নিউজিল্যান্ডের প্রথম হার ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। সেবার ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ছিল দুর্বার। তাতে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে চার উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করে তারা। শেষে বিশ্বকাপটাই নিজেদের করে নেয় ইমরান খানের দল।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে সেবার নিউজিল্যান্ডকে হারাতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ইনজামাম-উল-হক। ৩৭ বলে বলে ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ফাইনালেও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন ৩৫ বলে ৪২ রানের ম্যাচজয়ী নক, যা তাকে ভবিষ্যতের তারকা খ্যাতি এনে দেয়।
এরপর ১৯৯৯ বিশ্বকাপেও আরেকবার মুখোমুখি হয় দুই দল। তাতে নিউজিল্যান্ডের সামনে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ থাকলেও উল্টো হেরে বসে তারা। সেবার শোয়েব আখতারের বোলিং এবং সাঈদ আনোয়ারের ব্যাটিংয়ে ভর করে ৯ উইকেটে জিতেছিল পাকিস্তান। ব্যাট হাতে চোখ ধাধানো ১১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাঈদ আনোয়ার।
নব্বই দশকের পর ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় টি-২০ বিশ্বকাপ। সেই আসরের সেমিফাইনালে কেপটাউনে উমর গুলের বোলিংয়ে প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে অল্প রানে আটকে রাখে পাকিস্তান। পরে ইমরান নাজিরের ৫৯ রানে ভর করে সাত বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্য পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
আর এবার তো সেই ধারাবাহিকতার পুনরাবৃত্তিই দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। কেবল ফরম্যাটটাই এখানে আলাদা। সেবার ছিল আকদিনের ম্যাচ, এবার হলো টি-টোয়েন্টি।
share: