কুমিল্লায় রবীন্দ্রনাথ
স্বদেশ জার্নাল → প্রকাশ : 8 Aug 2022, 5:36:00 PM
অধ্যাপক রাহুল তারণ পিন্টু
২৫শে বৈশাখ রবিঠাকুরের জন্ম দিবস। নোবেল জয়ী বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই দিনে মহাবিশ্বে এসেছিলেন।
তিনি একজন বিরল মানব যিনি একাধারে কবি, সংগীত রচয়িতা, সুরকার, শিল্পী ,নাট্যকার, প্রাবন্ধিক। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির সন্তান ছিলেন কবিগুরু।
""আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি""যে সংগীতটির সাথে আমার দেশের জাতিসত্তার নাড়ির সম্পর্ক, সেই সংগীত ( আমাদের জাতীয় সংগীত) টি তার হাতেই রচিত। তিনি এমন একজন বিরল ব্যাক্তিত্ব যার রচিত সংগীত বিশ্বের তিনটি দেশ জাতীয় সংগীত হিসাবে গ্রহণ করেছে।
বহু প্রতিভার জন্মভূমি কুমিল্লা কবিগুরুর পদচারণার ছোঁয়া পেয়েছিল। তিনি মূলতঃ দুইবার কুমিল্লায় এসেছিলেন। আর কোলকাতা থেকে সাতবার কুমিল্লা হয়ে আগরতলায় গিয়েছেন। রবিঠাকুর প্রথম কুমিল্লার মাটিতে পা রাখেন ১৯০৫ সালের ১৬ই জুলাই আগরতলা থেকে কোলকাতায় যাওয়ার সময়।
""যখন পরবে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে"" এই শ্রুতি মধুর গানের স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ শেষ বারের মতো পা রেখেছিলেন ১৯২৬ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারিতে। সপরিবারে এসে ছিলেন চারদিন ছিলেন।কুমিল্লা পুরাতন অভয় আশ্রমে সপরিবারে কাটিয়েছিলেন অল্প কয়েকটি দিন। এটা বর্তমানে কে,টি,সি,সি,এর প্রতিষ্ঠান তারা তার অবস্হানের কক্ষটি সংরক্ষিত রেখেছে বলে জানা যায়।
১৯০৫ সালে কুমিল্লা টাউন হলে কবিকে (যা বর্তমানে বীরচন্দ্র নগর মিলনায়তন) নাগরিক সম্বর্ধনা দেয়া হয়। ১৯২৬ সালে যখনশেষবার এসেছিলেন তখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, রামমালা ছাত্রাবাস, কুমিল্লা মহিলা সমিতি ও কবি গুরুকে আলাদাভাবে সম্বর্ধিত করেছিল। তিনি প্রধান অতিথি হয়ে মহেশাঙ্গনে (কুমিল্লা ঈশ্বর পাঠশালার নাটমন্দির) বক্তব্য রেখেছেন বলে জানা যায়।
লাকসাম রোডের এডভোকেট অখিল দত্তের বাড়িতে( যা বর্তমানে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড ) প্রাতঃরাশ ,নবাব হোচ্ছাম হায়দারের নবাববাড়িতে দুপুরের খাবার,ও মনোহরপুরের কৈলাশ ভবনে বহু ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ইন্দু দত্তের বাসায় চা চক্রে উপস্হিত ছিলেন বলে জানা যায়।
কুমিল্লায় রবীন্দ্রনাথ কে স্মরণের জন্য বিশেষ ভুমিকা ছিল সামজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নাট্যশিল্পী আমার খেলাঘরের বড়ভাই শ্রদ্ধেয় শাহজাহান চৌধুরীর ও তার সংগঠন সংলাপের।
তাছাড়া ও কুমিল্লার শিল্পকলা একাডেমির সামনে কুমিল্লা সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম বাহাউদ্দীন বাহারের নিজস্ব উদ্যোগে জাতীয় পুরস্কাপ্রাপ্ত চারুশিল্পী ও কুমিল্লার কৃতি সন্তান উত্তম গুহের হাতে গড়া ভাস্কর্য হ্রদয়ে রবীন্দ্রনাথ দৃস্টিনন্দন একটি স্হাপনা।
কুমিল্লা রবীন্দ্র সম্মিলনী পরিষদ কবিগুরুর স্মৃতি রক্ষায় বিভিন্ন অনুস্ঠান করে থাকে।
কবি তোমাকে আজ কুমিল্লাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানাই।
share: