কুমিল্লার চার প্রবাসীর মৃত্যু
স্বদেশ জার্নাল → প্রকাশ : 27 Aug 2022, 1:21:02 PM

সৌদি আরব এবং বাহরাইনে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার চার প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। ২৪ আগস্ট রাতে এবং ২৫ আগস্ট দুপুরে দুই দেশে পৃথক এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের বাড়ি কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ এবং নাঙ্গলকোট উপজেলায়।
জানা গেছে, সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকার খাদে পড়ে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের তিন যুবক নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন আপন ভাই। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে দেশটির আল কাসিম শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের খলিফা বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে মো. ফারুক হোসেন (২৫) ও মো. পারভেজ হোসেন (২০) এবং একই বাড়ির আবুল বাশারের ছেলে মো. সাদ্দাম (২১)। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন কাশেমের ছোট ভাই সুমন মিয়া (৩৫) ও ভাগিনা রুবেল হোসেন (২০)। তাদেরকে সেখানকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
ঝলম দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিকুর রহমান হিরন নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, তিন বছর আগে ফারুক সৌদি আরব যান। মাস তিনেক আগে তার ছোট ভাই পারভেজকেও নিয়ে যান। সাদ্দামও বছর তিনেক আগে সৌদিতে পাড়ি জমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা পাঁচজন বাজার করতে আল কাসিম শহরের উদ্দেশ্যে প্রাইভেটকার নিয়ে বের হন। সেখানে পৌঁছার আগে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তারা তিনজন মারা যান। বাকি দুইজনের অবস্থাও আশংকাজনক। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের পরিবার চায় তাদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে। এজন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিউল আলম বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের আইনি সহায়তা আমরা করবো।
কুমিল্লা জনশক্তি রপ্তানি অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ বলেন, মরদেহ দেশে আনতে পরিবার দুটিকে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে।
অপর দিকে, বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. শাখাওয়াত হোসেন (৩৪) নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৪ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে বাহরাইনের আড়ৎ হাইওয়ে এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শাখাওয়াত হোসেন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পেড়িয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি দেশটির তালাবাত ফুডডেলিভারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
নিহতের মামাতো ভাই আবদুল মান্নান জাগো নিউজকে জানান, বুধবার রাত ৩টার দিকে আড়ৎ এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে ফুড ডেলিভারি দিতে লিংক রোড থেকে হাইওয়ে ওঠার সময়ে পিছন থেকে একটি ল্যান্ডক্রুজার তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে বাহরাইন পুলিশ মরদেহ মর্গে নিয়ে যায়।
নিহতের স্ত্রী রেজিয়া আক্তার জানান, ১০ বছর ধরে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করেছেন শাখাওয়াত হোসেন। আমার একটাই চাওয়া বাংলাদেশ দূতাবাস যেন শাখাওয়াতের মরদেহ দেশে পাঠাতে সহায়তা করেন।
share:
