কুমিল্লার কৃষকেরা প্রগতিশীল: কৃষিমন্ত্রী
স্বদেশ জার্নাল → প্রকাশ : 9 Aug 2022, 1:29:14 PM
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারা দেশই জানে কুমিল্লার কৃষকেরা প্রগতিশীল। তারা নতুন কোন প্রযুক্তি পেলেই সেটা নিতে ঝাপিয়ে পড়ে। তারা খুবই সক্রিয়। তাই আমরা কুমিল্লাকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি, যেন কুমিল্লায়ই মডেল হয়। আমরা যেখানে আন্তর্জাতিক বাজারে শাক সবজি রপ্তানির প্রক্রিয়া করছি সেখানে কুমিল্লাতে যে বিপুল পরিমানে টমোটো বা আলু হয় এসব নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। কৃষি পদ্ধতি আরো আধুনিক করা যায় কিভাবে সেটা দেখা হচ্ছে। কিভাবে বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে এই অঞ্চলের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেদিকে খেয়াল করছি।
রবিবার (৭ আগস্ট) কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বিদ্যমান শস্য বিন্যাসে তৈল ফসলের অন্তর্ভূক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
রপ্তানি বিষয়ে কৃষি মন্ত্রী আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে পূর্বাচলে দুই একর জমি দিয়েছেন। সেখানে রপ্তানিযোগ্য শাক সবজি ফলমূল রপ্তানির জন্য একটি প্যাকেজিং হাউজ করছি। সেখানে একটি উন্নত ল্যাবরেটরিও হচ্ছে। এই জায়গায় প্যাকেজিং হবে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে বিদেশে রপ্তানিযোগ্য ফলন। এছাড়াও তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাল্টি চেম্বার্ড কোল্ড স্টোরেজ নির্মানেরও পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে।
পূর্বাচলের প্যাকেজিং হাউজে শাক সবজি ফলূল আনার পর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা হবে যে এটা খাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ উপযোগী, তারপর সিল কওে সেটি কার্গোতে করে বিদেশ রপ্তানি হবে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শাক সবজি রপ্তানির জন্য যোগাযোগ করছি। এই মুহুতে নেদারল্যান্ডর্সেও একটি বড় হর্টিকালচার সেন্টারের সাথে আলাপও চলছে। পুরো ইউরোপে আলোড়ন তৈরী করেছে যে বাংলাদেশের আম, ড্রাগন, পেঁপে, কাঁঠালসহ অন্যান্য ফল খুব সুস্বাদু। কুমিল্লাসহ সারা দেশে ফসল উৎপাদন বাড়ছে। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে শাকসবজি রপ্তানি করার ব্যবস্থা করছি। যা আমাদের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করবে।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষিতে অবশ্যই এটার প্রভাব পড়বে। চাষিরা কষ্ট করে হলেও চাষ করবে। তারা এবার লাভ কম করে হলেও চাষ করবেন। কারণ খরচ বৃদ্ধি পাবে। তাই লাভ কম হলেও উৎপাদন কমবে না। এদেশের কৃষকরা এত ত্যাগী, তারা বউয়ের গলার হার, কানের দুল বিক্রি করেও চাষাবাদ করে। তারা গরু ছাগল বিক্রি করে সার কিনে ফসল উৎপাদন করে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন আরফানুল হক রিফাত, মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো . বেনজির আলম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক সরেজমিন উইং. হাবিবুর রহমান চৌধুরী, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকগণ।
share: