ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে স্বস্তির স্থান কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন
স্বদেশ জার্নাল → প্রকাশ : 10 Feb 2023, 7:17:50 PM


কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব রেলের একটা প্রাথমিক রেলস্টেশন। ১৮৯৫ সালে চালু হয় এই রেলস্টেশন, বর্তমানে চারটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে চালু রয়েছে কুমিল্লা রেল স্টেশন।প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম,সিলেট,ময়মনসিংহ,ব্রাহ্মবাড়িয়ার বিভিন্ন সময়ের ট্রেন দিন-রাত যাতায়াত করে থাকে। যাত্রীদের এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্লাট ফর্মে যাওয়ার সময় যেন অসুবিধে না হয়, এবং দূর্ঘটনা এড়াতে রয়েছে ফুট ওভার ব্রিজ এবং যাত্রীদের নিরপত্তা নিশ্চিত করতে রয়েছে পুলিশ ফাঁড়ি।দীর্ঘ সময়ের ট্রেন ভ্রমণকে আনন্দদায়ক করে তুলতে রয়েছে মাহমুদ বুক স্টল, এতে পাওয়া যায় অনেক রকম বই, ম্যাগাজিন এবং দৈনিক পত্রিকা। বই প্রেমী যাত্রীদের জন্য এ যেন অমৃত ভান্ডার। এছাড়া প্রথম প্ল্যাটফর্মের সাথেই রয়েছে খাবারের দোকান।স্টেশনের বাহিরে কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে চায়ের দোকান, ছোট খাটো খাবার হোটেল। তবে এর মধ্য রয়েছে একটি দই, মিষ্টির দোকান, লোক মুখে শুনা যায় স্থানভেদে এই দোকানের দই, মিষ্টি খুবই বিখ্যাত। তবে এ দোকানের যে ম্যানুটি সবচেয়ে বিখ্যাত তা হলো
দৈ-চিড়া। দোকানের নাম হলো "পুনিল ঘোষের দোকান "।
যাত্রী নন কিন্তু শেষ বিকেলের স্টেশন ভ্রমণ প্রেমী এমন একজনের বক্তব্যে উঠে আসে, " স্টেশনে এসে যদি পুনিল ঘোষের দৈ - চিড়ের স্বাদ যদি কেউ না নেয়, বলা যায় অনেক বড় কিছুই তিনি মিস করেছেন। তিনি আরও বলেন কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন নিঃসন্দেহে একটি সুন্দর স্থান, যার পরিবেশ পরিচ্ছন এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের যারাঁ এ স্টেশনের তত্বাবধানে রয়েছেন তাঁরা খুবই তৎপর।
আপনি কি প্রায়ই এ স্থানে ঘুরতে আসেন, এ প্রশ্নটি করা হলে, তিনি বলেন না এ পর্যন্ত দু ' বারই শুধু মাত্র একটু বেড়াবো এ হিসেবে আশা হয়েছে।
নগরীতে তো আরও ভ্রমণের জায়গা রয়েছে, আপনার কি মনে হয় আপনি ছাড়াও আরো অনেকে রয়েছে যারা কেবল ভ্রমন স্থান হিসেবে স্টেশনে এসেছে, কেন এসেছে?
এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, স্থানটি ভালো বিশেষ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্ল্যটফর্মটি তুলনামূলক অনেকটাই নিরিবিলি থাকে, যারা একটু নিঃস্তব্ধতায় সময় কাটাতে এবং নিরব নিঃস্তব্ধতায় ট্রেনের হুইশেল এবং ঝকঝকাঝক ট্রেনের শব্দ উপভোগ করেন তারা অনেক ক্ষেত্রেই এ স্থানটিকে বেছে নেয়। তাছাড়া নগরীর আরেকটি স্থান ধর্মসাগর পাড়, যেটি প্রকৃতির আবহাওয়ায় সময় কাটানোর জন্য ভালো, তবে ইদানিংকাল পরিবেশের খানিকটা অবনতি ঘটেছে বলে আমি মনে করি, তাছাড়া বন্ধের দিনগুলোতে প্রচুর জনসমাগম হয়। সারা সপ্তাহের কর্ম ব্যস্ততা, আর কোলাহলের পর মোটামুটি সবাই চায় প্রাণের স্পন্দনে একটু নিরবতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিটির মত, আজ(১০ ফেব্রুয়ারি,শুক্রবার) ছিল অনেক ভ্রমন প্রেমী।
লেখক :সাংবাদিক তুলি সাহা
share:
