ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতী চরে শীতকালীন সবজির সমাহার
স্বদেশ জার্নাল → প্রকাশ : 6 Nov 2023, 7:30:43 PM


ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গোমতি চড়জুড়ে এখন শীতকালীন সবজির প্রচুর সমাহার৷ নদীর চর জুরে লাল সবুজের সমারোহ। এ যেন লাল সবুজের গালিচায় ডাকা ফসলের মাঠ। রবিশস্য হিসেবে আলু, সরিষাসহ বিভিন্ন শস্যের চাষ হচ্ছে গোমতীর চরে।
এলাকার প্রবীণদের তথ্যমতে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় গোমতি নদীর পাড় জুড়ে থাকত ধান, পাট ও আলু কেনার নৌকা বহর। বড় বড় ধান পাট ব্যাপারীর সমাগম ঘটত ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মালাপাড়া ও রামনগর বাজারে। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের অভয়াশ্রম ছিল এই গোমতি নদী। কালের বিবর্তনে এক সময়ের খরস্রোতা গোমতি নদী আজ যৌবন হারিয়েছে। মালাপাড়া ইউনিয়নের মালাপাড়া, মনোহরপুর, অলুয়া ও রামনগর এলাকায় এই নদীর চরজোড়ে এখন ধান, আলু ও বিভিন্ন সবজির চাষ হয়।
গোমতির চরে দেখা হয় উপজেলার জিরুইন গ্রামের কৃষক কাউছার মিয়ার সাথে। সেখানে তিনি ১৮০ শতক জমি লিজ নিয়ে এতে লালশাক, মুলাশাক ও ডাটা চাষ করেছেন। তিনি প্রতিদিন বিকেলে এসব শাক জমি থেকে তুলে সন্ধার পর পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। এছাড়া তিনি এসব শাক বিভিন্ন হাট বাজারে নিয়ে নিজেই বিক্রি করেন।
তিনে বলেন, সবজী চাষের জন্য গোমতি নদীর চর বর্তমানে উত্তম। এখানে শীতকালীন শাকসবজির ফলন ভালো হয়। তাই আমি এই নদীর চরে কয়েকজন স্থানীয় কৃষক থেকে (১৮০ শতক) জমি বছর হিসেবে (লিজ) নিয়ে এতে বর্তমানে লালশাক, মুলাশাক ও মাইল্লা (ডাটা) চাষ করেছি। এতে জমি তৈরি থেকে শুরু করে বীজ বপনসহ মোট খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকার মতো। আমার আবাদকৃত জমি থেকে বর্তমানে আমি এসব শাক তুলে কংশনগর ও সাহেবাবাদ বাজার সহ বিভিন্ন পাইকারদের কাছে বিক্রি করা শুরু করেছি। এছাড়া বাজারের হাটবারে আমি নিজেও এসব শাক বিক্রি করি। আশা করছি আমার উৎপাদিত এসব লালশাক, মুলাশাক ও ডাটা প্রায় দুই লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবো।
share:
