কোরবানির ঈদ
স্বদেশ জার্নাল → প্রকাশ : 12 Jul 2022, 5:28:36 PM

নুসরাত রশিদ
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব, ঈদ নামক চলমান এক প্রথা।
ত্যাগের মহীমায় চির উজ্জীবিত হওয়ার সুযোগ,
মুসলমানরা পায় কোরবানির এই ঈদে,
ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্য দিয়েই পালিত হয়, কোরবানির ওই প্রাক-ইসলামি প্রথা।
সবাই ঈদে সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দেয়, একমাত্র সেই প্রতিপালকের তরে।
মানবমনের পশুত্ব ও দাম্ভিকতা যেনো, মূলসহ একেবারেই যায় মরে।
কিন্তু আমরা কোরবানিকে পরিণত করেছি, ত্যাগের বদলে প্রদর্শনের উৎসবে।
এই ত্যাগ যে শুধু খোদাকে পাওয়ার তরে, তার কোনো রেশ নেই আমাদের অনুভবে।
বেশি দাম দিয়ে বড় পশু কিনে আমরা, করে যাই বরাবরই অহংকার।
কোরবানির সেই মূলকথা ও মাহাত্ম্যকে, একেবারে ভেঙে করে দেই চুরমার।
কোরবানি হলো ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হওয়া, ভোগ আর প্রদর্শনের সাথে বড্ড দ্বন্দ্ব।
ভোগের জন্য পশু কোরবানি করা, কাজটা বড়ই গর্হিত ও মন্দ।
গরীব, দুঃখী ও অনাথদের ভাগ না দিয়ে, শুধু নিজেরাই ভোগ ও আহার করলে।
কোরবানি তার কবুল হবে না কোনোমতে, বড় ও দামী পশু কোরবানি করলে।
ত্যাগের মহিমা যেদিন জাগ্রত হবে, ভোগ ও পশুত্ব একেবারে দিবে বাদ।
সেদিনই কেবল মনুষ্যত্ব জাগবে মানুষের মাঝে, স্বীকৃতি পাবে আশরাফুল মাখলুকাত।
share:
